ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ , ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​স্বাধীনতার সীমায় নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছি: দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০৭:১০:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৬-০২-২০২৫ ০৭:১০:৫২ অপরাহ্ন
​স্বাধীনতার সীমায় নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছি: দুদক চেয়ারম্যান ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, সব ধরনের স্বাধীনতারই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা যতটুকু স্বাধীনতা পেয়েছি, তার মধ্যেই নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, নিপীড়ন, নির্যাতন, শোষণ ও নিষ্পেষণমূলক মামলা যেগুলো হয়েছে সেই ধারা যদি অব্যাহত রাখা হয় তাহলে আমাদের (দুদক) পরিণতিও একই হবে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুদকের গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ গণশুনানির আয়োজন করে দুদক, পাবনা জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায়।

ড. আবদুল মোমেন বলেন, নিপীড়নমুলক, নির্যাতনমূলক, শোষণমূলক, নিষ্পেষণমূলক মামলা যেগুলো হয়েছে তাদের পরিণতি কি? আমার মনে হয় এগুলো নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। আমরা যদি সেই ধারাটা অব্যাহত রাখি তাহলে আমাদেরও তো সেই একই রকম পরিণতি হবে। এখন প্রশ্ন হলো আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো কিনা, কিন্তু আমাদের সব ধরনের স্বাধীনতারই তো একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের যতটুকু স্বাধীনতা রয়েছে এর মধ্যে দিয়েই যতোটা ভালোভাবো এবং যতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ করা যায়।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের কাজ হলো বিচারিক প্রক্রিয়ার জন্য মামলা তৈরি করা। আদালত পরে সে বিচার সম্পন্ন করে। পাবনা সবসময় প্রতিবাদী জেলা হিসেবে পরিচিত, তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধেও এখানে আরও জোরালো প্রতিবাদ হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক কামরুল আহসান, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির মহাপরিচালক আখতার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডা. মনোয়ারুল আজিজ।

গণশুনানিতে ১৫৭টি অভিযোগ জমা পড়লেও তফসিলভুক্ত ৫৭টি অভিযোগ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি দফতরের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন সেবা প্রত্যাশীরা। উপস্থিত দপ্তরের কর্মকর্তারা এসব অভিযোগের তাৎক্ষণিক জবাব দেন।

অধিকাংশ অভিযোগ জমিজমা সংক্রান্ত ছিল। ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ উঠে আসে। দুদক এসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়।

ভুক্তভোগী, ইব্রাহিম হোসেন অভিযোগ করেন, ভূমি অফিসের কর্মচারীরা মাত্র ৫ হাজার টাকা বেতন পেয়ে কীভাবে পাঁচতলা বাড়ি করেন? অথচ আমি দীর্ঘদিন ইতালিতে থেকেও তা পারিনি। তিনি পাবনার সেটেলমেন্ট অফিসের সকল কর্মকর্তাকে বদলির দাবি জানান।

অন্যদিকে, চর বোয়ালিয়া গ্রামের মজিবর রহমান অভিযোগ করেন, ভূমি অফিসের লোকজন অর্থের বিনিময়ে জমি লিখে দেন। টাকা দিলে সহজেই কাজ হয়, না দিলে মাসের পর মাস ঘুরাতে হয়। দুদক পরে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠিয়ে এসব অভিযোগ তদন্তের আশ্বাস দেয়।

গণশুনানিতে পাবনার বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস, জেনারেল হাসপাতাল, নির্বাচন অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে নানা হয়রানির অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেয় দুদক।

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ